অল্প পুঁজিতে জুতার ব্যবসা আইডিয়া

জুতা হচ্ছে নৃত্য দিনের ব্যবহার পণ্যে। জুতা সকলকে ব্যবহার করতে হবে বিশেষ করে বাইরে বের হলে বা কোথাও যেতে হলে আমাদের সুন্দর ও স্টাইলিশ জুতা পরতে হয়। জুতা চাহিদা কোন দিন ও কমবে না।

অল্প পুঁজিতে জুতার ব্যবসা আইডিয়া
অল্প পুঁজিতে জুতার ব্যবসা আইডিয়া 


জুতার ব্যবসা পরিকল্পনা 


বন্ধুরা জুতা ব্যবসা করার আগে অবশ্যই পরিকল্পনা করতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া কোন ব্যবসা পরিচালনা করা যায় না। আপনি জুতা ব্যবসা শুরু করার আগে কি ধরনের জুতা বিক্রি করবেন তা ঠিক করতে হবে। 

দুই ধরনের জুতা বিক্রি করা যেতে পারে যেমন ব্রান্ডের জুতা নাকি ননব্রান্ডের জুতা বিক্রি করবে। আমাদের দেশে দুই ধরনের জুতা চাহিদা আছে। এছাড়াও আপনি ছোট ছেলে মেয়েদের জুতা বিক্রি করবেন নাকি বড় দের জুতা বিক্রি করেন তা ব্যবসা শুরু করার আগে ঠিক করতে হবে।

আরো পড়ুন 



স্থান নির্বাচন 


জুতা ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে স্থান নির্বাচন করতে হবে। স্থান নির্বাচন করা জুতা ব্যবসা জন্য জরুরী। আপনাকে এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে মানুষের সমাগম বেশি থাকে। স্কুল, কলেজের সামনে বাজারে নামকরা জায়গায় দোকান দেওয়া চেষ্টা করবেন।

দোকানে ডেকোরেশন 


জুতা দোকানে অবশ্যই ডেকোরেশন করতে হবে। ডেকোরেশন করার ফলে দোকান দেখতে গোছানো সুন্দর ও পরিপাটি দেখা যায় যার ফলে দোকানে কাস্টমারদের আকৃষ্ট করে। তাই দোকান ভালো করে ডেকোরেশন করবেন। আপনার দোকান যদি বড় হয় তাহলে তাহলে কাস্টমারদের বসার ব্যবস্থা করেন যাতে তারা বসে জুতা পরতে পারে। তাছাড়া আপনি দোকানে বড় আয়না লাগেনি যাতে কাস্টমার জুতা পরে দেখতে পারে তাকে কেমন লাগছে। 

দোকানে লাইসেন্স 


জুতা দোকান দেওয়ার সময় অবশ্যই লাইসেন্স বানিয়ে নিবেন। অনেক জুতা ব্যবসায়ী জুতার দোকানের লাইসেন্স বানাই না। কিন্তু আপনি লাইসেন্স বানিয়ে নিবেন এতে আপনার লাভ হবে। লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করা ঠিক হবে না। তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে লাইসেন্স নিবেন। 

জুতার পাইকারি বাজার 


জুতা ব্যবসা লাভ করার জন্য অবশ্যই পাইকারি বাজার থেকে জুতা কিনতে হবে। ঢাকা বিভিন্ন জায়গায় জুতার পাইকারি বাজার আছে যেমন চকবাজার, গুলিস্তান, যাত্রা বাড়ি ইত্যাদি আরে স্থানে জুতার পাইকারি বাজার রয়েছে। এই বাজার গুলোতে আপনি ব্রান্ডের জুতা ননব্রান্ডের জুতা সব পাবেন। 

অনলাইনে জুতার ব্যবসা 


বন্ধুরা আপনার কাছে যদি বেশি পুঁজি না থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে ও জুতা ব্যবসা করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন জুতা ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইন আপনি ফেসবুক পেজ, ফেসবুক গ্রুপ, ই-কমার্স ওয়েব সাইট বানিয়ে, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করে আপনি জুতা ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

 আপনি যদি ই-কমার্স ওয়েব সাইট বানিয়ে জুতা ব্যবসা শুরু করতে চান এক্ষেত্রে আপনার ডোমেইন হোস্টিং দরকার হবে। আর ফেসবুক পেজ দিয়ে শুরু করলে কোন রকম টাকা দরকার হবে। আর জুতা ব্যবসা দ্রুত লাভ করার জন্য অ্যাড দিতে হবে।

আরো পড়ুন 



জুতার ব্যবসা পুঁজি 


জুতার ব্যবসা শুরু করার জন্য পুঁজি দরকার হবে। আপনি যদি দোকান দিয়ে জুতার ব্যবসা শুরু করেন তাহলে দোকান ভাড়া, দোকানে লাইসেন্স, দোকানের ডেকোরেশন ইত্যাদি সব কিছুর জন্য আপনি শুরুতে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো লাগবে। আর যদি ফুতপাতে যদি ব্যবসা করেন তাহলে ৫০ হাজার টাকার মতো লাগবে। আর যদি অনলাইনে জুতা ব্যবসা শুরু করেন তাহলে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ও ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

জুতার ব্যবসা লাভ কেমন 


জুতা আমাদের নৃত্য দিনের পণ্য হওয়াই এতে অধিক টাকা লাভ করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ছোটদের জুতাই লাভ বেশি হয়। কিছু দিন পর পর তাদের জুতা বদলাতে হয়। এছাড়া ও আপনি ব্রান্ডের জুতা গুলোতে ও লাভ করতে পারেন। 

জুতার ব্যবসা ঝুঁকি কেমন 


জুতা ব্যবসা তেমন একটা ঝুঁকি নেই। আপনি কোন রকম অভিজ্ঞতা ছাড়া আপনি জুতা ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সময়ের সাথে সঠিক পরিকল্পনা করে ব্যবসা পরিচালনা করলে লস হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url