১০ টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩

পৃথিবীতে অনেক রকমের ব্যবসা আছে তা আমার জানি। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো পাইকারি ব্যবসা। বর্তমানে পাইকারি ব্যবসা করে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। বন্ধুরা গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত পাইকারি ব্যবসার চাহিদা অনেক। 

পাইকারি ব্যবসা হলো আপনি উৎপাদক থেকে পণ্য কিনে সেই গুলো খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করাকে পাইকারি ব্যবসা বলে। বন্ধুরা আজকে আমরা ১০ টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব। যেই ব্যবসা গুলো করলে আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।

১০ টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩
১০ টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩

১. কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা


কাপড় আমাদের নৃত্য দিনের পণ্য গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটির চাহিদা সব সময় থাকবে। আপনি চাইলে কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কাপড়ের সারা বছর চাহিদা থাকায় আপনি অনেক টাকা লাভ করার সম্ভাবনা আছে। আপনি বিভিন্ন রকমের কাপড় উৎপাদনকারী কাছ থেকে কিনে সেই গুলো খুচরো বিক্রি করতে পারেন। 

কাপড় কিনার জন্য যেমন গার্মেন্টস আছে আর শাড়ির পাইকারি ব্যবসা করতে চাইলে তাহলে সরাসরি তাঁতিদের কাছ থেকে কিনতে পারবেন। একটা কথা মনে রাখবেন আপনি যদি পণ্য কিনার সময় লাভ করতে না পারলে কিন্তু ব্যবসা লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা করার জন্য আপনার প্রথমে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো পুঁজি দরকার হবে।

আরো পড়ুন 



২. চালের পাইকারি ব্যবসা


চালের সারা বছর চাহিদা থাকে। অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনি চাইলে এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। চালের পাইকারি ব্যবসা করার আগে আপনাকে একটি বড় গুদাম রেডি করে রাখতে হবে। আপনি শুরুতে ৫০০ বস্তা চাল দিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনি প্রতি বস্তায় ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারেন। আর যদি খুচরো বিক্রি করেন তাহলে প্রতি বস্তায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাভ করতে পারবেন।

৩. স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা


আমাদের নৃত্য দিনের কোন না কোন স্টেশনারি পণ্যে ব্যবহার করি। যেমন খাতা, কলম, জ্যামিতি বক্স, রাবার, পেন্সিল, রং পেন্সিল, ক্যালকুলেটার, ইত্যাদি আরো কোন কোন পণ্য ব্যবহার করি। আপনি চাইলে স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা করতে পারবে। এই স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা করলে সহজে লাভ করতে পারেন।

 এই স্টেশনারি পণ্যে গুলো ঢাকা চকবাজার, নীলক্ষেত আর চট্টগ্রামে আন্দরকিল্লাতে পেয়ে যাবেন। আপনি সেখান থেকে কিনে নিয়ে আসবেন। এই স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা করার জন্য আপনার শুরুতে দরকার হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা


৪. ব্যাগের পাইকারি ব্যবসা


বর্তমানে ব্যাগের চাহিদা অনেক। চাহিদা মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে চামড়ার ব্যাগের। ব্যাগের মধ্যে অনেক রকমের ব্যাগ পাওয়া যায় যেমন শপিং ব্যাগ, মানি ব্যাগ, লেডিছ ব্যাগ, স্কুল ব্যাগ,। আপনি চামড়া ব্যাগের ব্যবসা করতে পারেন। চামড়ার ব্যাগের চাহিদা যেমন বেশি তেমনি দাম তো বেশি থাকায় প্রতিটি ব্যাগ থেকে ভালো টাকা লাভ করতে পারবেন। আপনি ব্যাগের পাইকারি ব্যবসা শুরু খরার জন্য কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা পুঁজি দরকার হবে। 

৫. ঘড়ির পাইকারি ব্যবসা 


বর্তমানে ট্রেন্ড, ফ্যাশন এবং স্মার্টনেস ফুটিয়ে তোলার জন্য মানুষ গড়ি ব্যবহার করে। কম বেশি সব বয়সি মানুষ ঘড়ি ব্যবহার করে। ঘড়ি সব সময় চাহিদা আছে এবং থাকবে। এর চাহিদা কোন দিন ও কমবে না। আপনি চাইলে ঘড়ির পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আপনি ঘড়ির পাইকারি ব্যবসা শুরু করলে ঘড়ি গুলো ২ ভাবে বিক্রি করতে পারেন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে এবং অনলাইনে ও বিক্রি করতে পারবেন। 

৬. জুতার পাইকারি ব্যবসা 


জুতার কেমন চাহিদা আছে সেটা বলতে হবে না। বাংলাদেশর জুতার বাজার অনেক বড়। কারন ছোট বড় সবার জুতা ব্যবহার করে। বন্ধুরা আপনি চাইলে আপনার এলাকায় জুতার পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে অধিক লাভ করার সুযোগ রয়েছে। জুতার চাহিদা সব সময় থাকবে। জুতা ব্যবসা লস হওয়ার সম্ভাবনা তেমন না। 

আপনি ছোট বড় সকল সাইজের জুতার পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। জুতা দুই রকমের হয়ে থাকে ব্রান্ড এর জুতা আর ননব্রান্ড জুতা। ব্রান্ড এর জুতার দাম একটু বেশি আর ননব্রান্ডের দাম কম। আপনার পুঁজি অনুযায়ী একটি বেঁচে নিবেন। জুতা পাইকারি ব্যবসা ২ লক্ষ টাকা দিয়ে ও শুরু করতে পারেন। 


৭. টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসা 


বর্তমানে টিশার্ট ব্যাপক জনপ্রিয়। আমাদের বাংলাদেশে বিশ্বমানের টিশার্ট তৈরি করা হয় এবং সেই গুলো দেশের বাইরে রপ্তানি করা হয়। বন্ধুরা আপনি অল্প পুঁজিতে এই টিশার্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সঠিক ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। 

আরো পড়ুন 



৮. মুদি সামগ্রীর পাইকারি ব্যবসা 


মুদি দোকানে পণ্যে গুলো আমাদের সবসময় ব্যবহার করতে হয়। মুদি দোকানে পণ্য গুলো মধ্যে তেল, মসলা, চাল, ডাল, ইত্যাদি পণ্য গুলো বেশি বিক্রি হয়। আপনি চাইলে এই পণ্য গুলোর পাইকারি ব্যবসা করতে পারবেন। আপনি কোম্পানি থেকে সরাসরি কিনে নিয়ে এসে খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি ধরে বিক্রি করবেন। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। 

৯. ইলেকট্রিক পণ্যের পাইকারি ব্যবসা 


ইলেকট্রিক পণ্যের পাইকারি ব্যবসা মধ্যে লস অনেক কম। কিন্তু এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অনেক টাকা পুঁজি দিতে হবে। কারন ইলেকট্রিক পণ্যের মধ্যে অনেক রকমের পণ্য থাকে। তাই আপনার কাছে যদি বেশি পুঁজি থাকে তাহলে আপনি ইলেকট্রিক পণ্যের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

১০. কসমেটিক্স সামগ্রীর পাইকারি ব্যবসা 


কসমেটিক্স পণ্য চাহিদা কোন দিন ও কমবে না। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি কসমেটিক্স পণ্য ব্যবহার করে। তাই আপনি চাইলে কসমেটিক্স পণ্য ব্যবসা করতে পারেন। কসমেটিক্স পণ্য বিক্রি করে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

আরো পড়ুন 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url