ঘরে বসে টাকা আয় করার ৯ টি সহজ উপায়

পড়ালেখা পাশাপাশি ঘরে বসে টাকা ইনকাম বা অনলাইন ইনকাম করার মজা তারাই বুঝতে পারে যারা ইনকাম করে। পড়ালেখা খরচ ও নিজের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য পরিবার বা মা বাবা কারো কাজ থেকে টাকা নিতে হবে না।

ঘরে বসে টাকা আয় করার ৯ টি সহজ উপায়
ঘরে বসে টাকা আয় করার ৯ টি সহজ উপায় 

 যেমন ভালো রেস্টুরেন্টের গিয়ে খাবার খাওয়ার, নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কিনাকাটা করা। এবং টাকার সঠিক ব্যবহার করা ইত্যাদি। নিচে ঘরে বসে টাকা আয় করার উপায় বলা হয়েছে। 

১. ব্লগিং ( blogging ) 


ব্লগিং হলো নিজের পছন্দ মতো কোন একটা বিষয়ের উপর লেখা লেখি করা। ব্লগিং শুরু করার আগে একটি নিশ সিলেক্ট করতে হবে। যেমন হেলথ, টেকনোলজি, এডুকেশন, ইত্যাদি বর্তমানে জনপ্রিয় নিশ। 

তারপর ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট সাইট বানিয়ে নিজের লেখা আর্টিকেল গুলো পোস্ট করতে পারেন। আপনি যদি ব্লগিং এ নতুন হয়ে থাকেন তাহলে ব্লগার দিয়ে শুরু করবেন। 

আপনি ব্লগারের ফ্রি ডোমেন ব্যবহার করতে পারেন। এরপর এডসেন্স এপ্রুভাল নিয়ে তার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য ব্লগিং একটা সেরা উপায় হতে পারে আপনার জন্য। 

২. কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ( content creation ) 


আপনার যদি লেখালেখি ভালো না লাগে। তাহলে আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া জন্য ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন যেমন ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম। 

আপনি যেই বিষয় ভালো লাগে তার উপর ভিডিও তৈরি করে তা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম পাবলিশ করে তার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি চাইলে পডকাস্ট শুরু করতে পারবেন বর্তমানে পডকাস্ট অনেক জনপ্রিয়। 

পডকাস্টিন শুরু করার জন্য গুগল পডকাস্ট, anchor স্পটিফাই, ইত্যাদি দিয়ে আপনি শুরু করুন যদি একবার আপনার পডকাস্ট জনপ্রিয় হয়ে যাই তাহলে বিভিন্ন রকম ব্যান্ড প্রমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

৩. ইউটিউবিং ( you tubing ) 


বর্তমানে গুগলের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় সেরা সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে ইউটিউব। পড়ালেখা পাশাপাশি ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য ইউটিউব অন্যতম সেরা উপায় আপনি যদি ভালো ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে ইউটিউবকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবেন।

 ইউটিউব থেকে মাসে ভালো টাকা ইনকাম করার সম্ভব। গুগলের এডসেন্সর এ্যাড ব্যবহার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করা নিজের পণ্য বিক্রি করা ইত্যাদি থেকে মাসে এক লক্ষ টাকার ও বেশি ইনকাম করা সম্ভব।

৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন ( graphics design ) 


গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো নিজের মেধা ও সৃজনশীলতা কে ব্যবহার করে নৃত্য নতুন ডিজাইন করা। আপনি যদি ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন তাহলে এটিকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে টিশার্ট ডিজাইন ও করতে পারেন।

 March by amazon এপ্রুভাল নিয়ে তাদের জন্য টিশার্ট ডিজাইন করে তা বিক্রি করে তার থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন । বর্তমানে অনেক তরুণ তরুণী এই টিশার্ট ডিজাইন পেশার সাথে জড়িত। এছাড়াও বিভিন্ন গার্মেন্টস বা বিভিন্ন Marketplace অনেক চাহিদা আছে।

আপনার কাছে যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকে তাহলে মোবাইল দিও ও গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারবেন। canva সাহায্যে মোবাইল দিয়ে ভালো ভালো ডিজাইন করা যায়। canva ফ্রি এবং পেইড রয়েছে। 

৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate marketing ) 


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম শেয়ার করে বা নিজের ওয়েব সাইটে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিঙ্ক দিয়ে সেই লিংক দিয়ে কস্টাম পণ্য কিনবে

এবং প্রতিটি সেলের জন্য আলাদা আলাদা কমিশন পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটি ওয়েবসাইট দরকার এর থেকে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।


৬. ফ্রিল্যান্সিং ( freelancing ) 


বাংলাদেশে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পৃথিবীর দ্বিতীয় স্থান আছে। বর্তমানে ঘরে বসে আয় করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি সেরা উপায়। বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পড়ালেখা পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে। 

আপনি যেকোনো একটা কাজের উপর এক্সপার্ট হয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য অনেক সাইট আছে যেখান থেকে কাজ নিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন 

৭. অনলাইনে পণ্য তৈরী ও বিক্রি ( created and sell products online ) 


অনলাইন ২ ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট। ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট হলো যেমন জামা কাপড়, জুতা বই আর ডিজিটাল প্রোডাক্ট হলো ই - বুক, অনলাইন কোর্স, ডিজাইন টেমপ্লেট ইত্যাদি বিক্রি করতে পারবেন একটি ই-কমার্স ওয়েব সাইট বানিয়ে। এছাড়াও shopify সাহায্যে ই-কমার্স ওয়েব বানাতে পারেন। 

আরো পড়ুন 


৮. ভিডিও এডিটিং ( video editing ) 


পড়ালেখা পাশাপাশি ঘরে বসে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। ইউটিউব সাহায্য ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন। ইউটিউব এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি সব ধরনের ভিডিও পেয়ে যাবে শুধু রিচার্জ করে ভালো ভিডিও খুঁজে বের করতে হবে। 

ভিডিও এডিটিং করার জন্য দরকার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। আর যদি আপনার কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকে তাহলে মোবাইলের সাহায্য ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য অনেক ভালো ভালো অ্যাপ রয়েছে। 

৯. টিউটরিং ( tutoring ) 


পড়ালেখা পাশাপাশি টিউটরিং একটি ভালো উপায়। আপনি যে বিষয় ভালো পারেন তা অন্যদের শিখাতে পারেন। শিখানো একটি ভালো কাজ। যেমন ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে পড়ানোর জন্য অনেক ছাত্র ছাত্রী পেয়ে যাবেন। আপনি টিউটরিং দুই ভাবে করতে পারেন অনলাইন ও অফলাইন যেমন zoom, Google met, সাহায্যে অনলাইনে পরাতে পারবেন ।

আরো পড়ুন 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url